পুরনো কূপ সংস্কার করতে গিয়ে গ্যাসের সন্ধান
আপলোড সময় :
২২-১০-২০২৪ ০৮:৩৬:৩২ অপরাহ্ন
আপডেট সময় :
২৩-১০-২০২৪ ০৪:৪০:২৯ অপরাহ্ন
সংবাদচিত্র : সংগৃহীত
সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার হরিপুরে পুরনো কূপ সংস্কার করতে গিয়ে নতুন করে গ্যাসের সন্ধান পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) দুই দফা ওয়ার্কওভার শেষে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে সিলেট গ্যাসফিল্ড লিমিটেড কর্তৃপক্ষ। ওয়ার্কওভারের পর ৭ নং কূপে বর্তমানে গ্যাসের ফ্লো দেয়া হচ্ছে। এতে মাত্র ১,২০০ মিটার গভীরতায় গ্যাসের সন্ধান পাওয়া গেছে।
সিলেট গ্যাসফিল্ড লিমিটেডের (এসজিএফএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পুরাতন গ্যাসকূপে সিলেট-৭ নম্বরে এ বছরের জুলাই মাস থেকে ওয়ার্কওভার শুরু হয়। ১৪ অক্টোবর ২,০১০ মিটার গভীরতায় পরীক্ষা করে গ্যাসের সন্ধান পাওয়া যায়। মঙ্গলবার ওই কূপের আরেকটি জোনে ১,২০০ মিটার গভীরতায় ফের গ্যাসের সন্ধান মেলে।
সেখানে কী পরিমাণ গ্যাস মজুদ রয়েছে এ ব্যাপারে পরীক্ষা-নিরীক্ষার আগে সঠিক তথ্য জানানো কঠিন মন্তব্য করে গ্যাসফিল্ড এমডি বলেন, গ্যাস পরীক্ষা করতে আরও ৩-৪ দিন সময় লাগতে পারে। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে, প্রতিদিন গড়ে সাড়ে ৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা যাবে।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাকে সিলেটে আনার প্রস্তুতি চলছে জানিয়ে মিজানুর রহমান বলেন, তিনি (উপদেষ্টা) এলে আনুষ্ঠানিকভাবে সবকিছু বলা যাবে।
মিজানুর রহমান জানান, এর আগেও সিলেট গ্যাসফিল্ডসের অন্যান্য কূপ থেকে পাওয়া ৬০-৭০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করা হয়েছে। ৭ নম্বর কূপ থেকে পাওয়া গ্যাস শিগগিরই জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে।
এর আগে এ বছরের ২৪ মে খননকাজ শেষে সিলেটের কৈলাশটিলা গ্যাস ক্ষেত্রের ৮নং কূপে দৈনিক ২১ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের সন্ধান পাওয়া যায়। কূপের ৩,৪৪০ থেকে ৫৫ হাজার ফুট গভীরতায় গ্যাস পাওয়া যায়। এর আগে গত ২৭ জানুয়ারি সিলেট গ্যাসফিল্ডের আওতাধীন রশিদপুরের ২নং কূপে গ্যাসের নতুন স্তরের সন্ধান পাওয়া যায়। যার পরিমাণ প্রায় ১৫৭ বিলিয়ন ঘনফুট।
সিলেট গ্যাসফিল্ড লিমিটেডের উৎপাদনে থাকা কূপগুলো থেকে এখন প্রতিদিন জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে প্রায় ১০০ মিলিয়নের বেশি ঘনফুট গ্যাস। এ বছরের মধ্যে আরও কয়েকটি প্রকল্পের কাজ শেষ করে তারা সেই উৎপাদনকে ১৫০ মিলিয়ন ঘনফুটে নিয়ে যেতে চায়। আর সরকারের বেঁধে দেওয়া সময় অনুযায়ী ২০২৫ সালের মধ্যে সব কাজ শেষ করতে পারলে শুধু এই কোম্পানি থেকেই প্রতিদিন জাতীয় গ্রিডে ২৫০ মিলিয়ন গ্যাস যুক্ত করা সম্ভব হবে বলছেন সংশ্লিষ্টরা।
বাংলা স্কুপ/সিলেট প্রতিনিধি/এসকে
প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স